পদ্মা সেতুর সুবাতাস কি শুধু দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাবাসীর জীবনে বইবে? কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনটি দেশজুড়ে উৎসবের দিন। কেননা সেতুটি দেশের সবার জীবনে কোন না কোনভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর বৃহত্তর সুফলের সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করতে সরকারের আরও কিছু করণীয়র কথা জানিয়েছেন স্বনামখ্যাত কয়েকজন অর্থনীতিবিদ।
বিশ্বব্যাংক বলেছিল, পদ্মা সেতু দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়াবে ১ দশমিক ২ শতাংশ, আর এই হার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং প্রতি বছরই একটু একটু করে দারিদ্র্য কমবে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় ৬ কোটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক আর্থ সামাজিক পরিবর্তন আনবে। তবে দেশের স্বনামখ্যাত ক’জন অর্থনীতিবিদ দেশের সব মানুষের জীবনে বড় ধরনের বহুমুখী ইতিবাচক পরবির্তনের সম্ভাবনা দেখছেন পদ্মা সেতুকে ঘিরে।
দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে কারও দ্বিমত নেই। আবার শুধু অবকাঠামো এককভাবে বড় পরিবর্তন আনতে পারে না, যদি না অন্য প্রয়োজনীয় আয়োজনগুলো না থাকে। সেগুলো না হলে পদ্মা সেতুর বৃহত্তর সুফল পেতে দেরি হবে বলে অভিমত অর্থনীতিবিদদের।
পদ্মা সেতুর ফলে সহজলভ্য যোগাযোগকে মাথায় রেখে পরিকল্পিত শিল্পায়ন দেশের জাতীয় অর্থনীতির ভিত ইতিবাচকভাবে আমূল পাল্টে দিতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।
পদ্মা সেতুকে ঘিরে কত ধরনের সম্ভাবনার দ্বার খুলবে তা নিয়ে বিশ্লেষণের অন্ত নেই। তবে স্বনামখ্যাত এই অর্থনীতিবিদদের কথায় যেটা স্পষ্ট, তা হলো- সব ভাল পরিকল্পনার সুফল তখনই আসবে, যখন সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য অন্য প্রয়োজনীয় আয়োজনগুলো করা হবে। পদক্ষেপগুলো যত সঠিক হবে, পদ্মা সেতু তত বড় সম্পদ হবে।