মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হ্যাস-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আসলে উনি তেমন কিছু আলোচনা করেন নাই। কেমন ফিল করি..আমি বলেছি আমেরিকার মতো আমাদের নির্বাচন অতো স্মুথ নয়। একটু টার্বুলেন্স হয়। ওইদিক থেকে আমরা প্রস্তুত। আমরা আশাকরি সকল সংস্থা (সরকারি) থেকে সহযোগিতা পাবো এবং নির্বাচনটা সফল হবে। নির্বাচনটা ফেয়ার করার চেষ্টা করবো। আশাকরি, আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। সম্ভব হলে ভোটিং কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেবো। এতে নজরদারি সহজ হবে। সরকারও আশাকরি হেল্প করবে। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটা ভালো নির্বাচন করার চেষ্ট করবো।
বুধবার (৮ জুন) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হ্যাস।
বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, প্রথমত উনাদের কোনো বার্তা নেই। এটা ছিলো সৌজন্য সাক্ষাত। তিনি আমাকে নতুন সিইসি হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। সকল ক্ষেত্রে আমার সাফল্য কামনা করেছেন। তিনি এবং তার সরকারের তরফ থেকে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করবেন বলে জানিয়েছেন, এটা একটা সৌজন্যতা।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, কোনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়নি। উনি যেটা ফিল করছেন, দলগুলোর মধ্যে ধীরে ধীরে আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। হয়তো দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হবে দলগুলো বুঝবে। আমরা ফেয়ার নির্বাচন করার চেষ্টা করবো। আশাকরি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগের চেয়ে স্বচ্ছ হবে বলে উনাদেরকে জানিয়েছি।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বলেছি, উনি চেয়েছেন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে ভালো হয়। আমরা বলেছি দলগুলোর সঙ্গে বসবো। কিভাবে অংশগ্রহণমূলক হয়, তাদের সঙ্গে আলোচনা হলে হয়তো পথ বেরিয়ে আসবে।