‘আস্থা, অভিভাবকত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতা- একটা দেশের শিল্পোন্নয়নে এই তিন অনুষঙ্গের সবটুকুই আছে বাংলাদেশে। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখন পুরোপুরি নিরাপদ। বাংলাদেশের একজন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হিসেবে আমি আপনাদেরকে আজ এই আশ্বাসটুকু দিয়ে যেতে চাই।’
আমেরিকার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত রোড শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাইটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।
সপ্তাহব্যাপী এই রোড শো’র প্রথম পর্ব সোমবার (২৬ জুলাই) আমেরিকার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির কেন্দ্রস্থল ম্যানহাটনের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলের বলরুমে।
এই অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের নিয়ে প্রথম পর্বের রোড শো’র প্যানেল ডিসকাশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্যানেলিস্ট হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘দর্শক আসন থেকে অনেক প্রশ্ন এসেছে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। আমরা ৬ জন প্যানেলিস্ট এখানে উপস্থিত থাকার পরেও প্রায় প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আমাদের অভিভাবক সালমান এফ রহমান ও শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তারা দু’জনই আমাদের দেশের অভিভাবক। আপনারা তাদের জ্ঞান-প্রজ্ঞায় আস্থা রাখতে পারেন। তারা সঠিক পথ দেখাচ্ছেন।’
ওয়ালটন হাইটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘ওয়ালটন ২০০৮ সাল থেকে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর গত ১২ বছরে বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি ছিল আমদানি নির্ভর। তবে ২০২১ সালে ওয়ালটন বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এখন পুরোপুরি ম্যানুফ্যাকচারিং বেইজড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনাময়। এটা আপনাদের (প্রবাসী বিনিয়োগকারি) জন্য আশ্বস্তের বিষয়। এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা পুরোপুরি নিরাপদ। একজন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হিসেবে আমি আপনাদেরকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। আশ্বাসটুকু দিতে চাই।’
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত দিক তুলে ধরার জন্যই আমেরিকার চারটি শহরে সপ্তাহব্যাপী রোড শো’র আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনের অন্যতম সহযোগি ওয়ালটন। বিশ্ব বাজারে নিজেদের জায়গা করার লক্ষ্যে ওয়ালটন এই রোড শোকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে ওয়ালটনের দশ সদস্যের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল এখন নিউ ইয়র্কে রয়েছেন।
নিউ ইয়র্কের রোড শো’তে ‘দি রাইজ অব বাংলাদেশ টাইগার: পটেনশিয়ালস ইন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কি-নোট উপস্থাপন করেন শান্তা অ্যাসেটের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকালের সেশনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. মিজানুর রহমান, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।
সকালে ‘রোড শো’তে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুল জেনারেল সাদিয়া ফায়জুন্নেসা।
উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় সেশনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই রোড শো’তে অংশ নেবেন।
২৮ জুলাই দ্বিতীয় রোড শো হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে। তৃতীয়টি হবে ৩০ জুলাই লস এঞ্জেলেসে। চতুর্থ রোড শো হবে সিলিকন ভ্যালি সান ফ্রান্সিসকোতে, ২ আগস্ট।