এখন থেকে ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এরপর থেকে ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী পরিবহন করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এই আদেশ দেন।
এসময় আদালত বলেন, ট্টেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।
এদিকে রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বুধবার (২০ জুলাই) রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে খোঁজ নিতে রাষ্ট্রপক্ষকে বলেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর বৃহস্পতিবার রেলওয়ে ও সহজ ডটকমের তিন কর্মকর্তা আদালতে আসেন।
এদিন শুনানির শুরুতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতকে বলেন, হাইকোর্টকে সম্মান দেখিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মহিউদ্দিন রনির স্মারকলিপিতে থাকা দাবিগুলো তদন্তে কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রেলওয়ের কর্মকর্তারাও হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন। এ পর্যায়ে রেলওয়ের দুই কর্মকর্তা যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন) এএম সালাহউদ্দীন ও পরিচালক ট্রাফিক (বাণিজ্য) মো. নাহিদ হাসান খান এবং সহজ ডটকমের কর্মকর্তা যুবায়ের হোসেন আদালতের ডায়াসের সামনে আসেন।
আদালত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে বলেন, রেলে এত অব্যবস্থাপনা কেন থাকবে? কেন টিকিটে কালোবাজারি হবে? কেন মানুষ ট্রেনের ছাদে যাবে? আপনারা কি রেলকে গ্রাস করতে চাইছেন? এ অবস্থা চলতে পারে না।
আদালত বলেন, রেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। সেই সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠে। ট্রেন থেকে পড়ে তো দুর্ঘটনাও হতে পারে। আর আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমান। এটা হতে পারে না। আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন।