রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমানোকে সমন্বয়হীনতা বলছে: ড. দেবপ্রিয়

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ৩০, ২০২২

জ্বালানি তেলের দাম ৪০ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা কমানো সিদ্ধান্ত সমন্বয়হীনতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ‘ইআরএফ ডায়ালগ’ তিনি একথা বলেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি দীর্ঘদিন ধরে কোনো বৈঠক করে না। কোনো একটা মন্ত্রণালয়ের একজন সচিবের সিদ্ধান্তে বাজারের দাম কমানো বা বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে কি পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে সে হিসাবে কি তাদের কাছে আছে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার একটা বদমাশই জায়গা। বাংলাদেশ চাপে আছে সংকটে নেই। যত্ন না নিলে শরীরের ক্ষতগুলো যেমন আরো মারাত্মক হয়ে যায়। তেমনি বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে জনগণের দুর্ঘ গণতন্ত্র মানবাধিকার এগুলো উন্নয়নের অংশ। সবচেয়ে বড় প্রকল্প আদো কাজে আসবে কীনা তা আমরা জানি না।

গত এক দশক বা দেড় দশকে আমরা যে উন্নয়নের অভিযাত্রায় আছি এরমধ্যে আমাদের সাফল্যগুলোকে কীভাবে দেখবো? বাংলাদেশের পরবর্তী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সামাজিক দায়িত্ব কি? বৈশ্বিক যে পরিস্থিতি আসছে সামনে তা খুব দ্রুতই কেটে যাচ্ছে না, বাংলাদেশের মূল সমস্যা হল আর্থিক খাতের সমস্যা, সরকারের রাজস্ব আদায় কম সেহেতু খরচ করার সক্ষমতাও কম, প্রয়োজন অনুযায়ী জ্বালানিতে ভর্তুকি দিতে পারছে না সরকার, বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসের মধ্যে প্রতিশ্রুতিশীল একটি দশক আমরা পার করে এসেছি তা সমালোচক হিসেবেও স্বীকার করতে হবে, আমরা নিম্ন আয়ের দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে গেছি এবং স্বল্পোন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ভৌত অবকাঠামোগত বেড়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে যথেষ্ট বিনিয়োগ হয়নি।

পেশাদার অর্থনীতিবিদের দুঃখের জায়গাটা হলো বিচ্যুতি রেখা, গেলা একদশকে মূলত রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ দ্বারা ধাবিত হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ না হওয়ায় প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠতে পারে নাই, যা কোনোভাবেই একটা নিম্নমধ্য আয়ের দেশের জন্য কাম্য হতে পারে না। রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বেশি করলে ব্যক্তি বিনিয়োগকে কোনঠাসা করে ফেলে, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়ার পরও ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়েনি, যা একটি বড় বিষয়।

আর্থিক খাতের দুর্বলতা কর আহরণ করার হার। দেশজ আয় বাড়লেও আয়ের ওপর কর এলো না কেন। আয় হয়েছে তারপরও কর আসলো না কেন? তাহলে কি আয় হয় নাই নাকি কর আদায় করা যাইনি। সরকার তার নিজের প্রয়োজন মত আমদানি করতে পারে না, টিসিবির পণ্য দিয়ে দেশের গরীব মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ