বিএনপি আসলে মানুষের জন্য রাজনীতি করে না, জনগণের প্রতি তাদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। তারা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব না করে শুধু ঘরে বসে থেকে বিবৃতি দেয়। ফলে এ রকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতি তিনি বলেন, গতকাল রাজধানীর বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করেছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপি তামাশার নির্বাচনে বিশ্বাস করে না।’ অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি এদেশে বার বার তামাশার নির্বাচন আয়োজন করেছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। অনুরূপভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ২০০৭ সালে বিএনপি যে নির্বাচনের আয়োজন করে গণআন্দোলনের মুখে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এদেশে সরকার পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। দেশে অগণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রবর্তক বিএনপির ওপর জনগণ আর আস্থা রাখতে চায় না।