জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আগুন ছড়িয়েছে সবখানে। যার আঁচ লেগেছে চট্টগ্রামের বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো বা আইসিডিগুলোতেও। চট্টগ্রামের ১৯টি ডিপোতে চার্জ বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। তবে খরচ সমন্বয়ের নামে চার্জ অতিরিক্ত বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন ব্যবহারকারীরা।
আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডা বলছে, ডিজেলের দাম সাড়ে ৪২ শতাংশ বৃদ্ধিতে ডিপোর সামগ্রিক ব্যয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। ফলে বাধ্য হয়ে বাড়াতে হয়েছে চার্জ।
বিকডা সচিব রুহুল আমিন শিকদার বলেন, এটা রপ্তানি বাণিজ্যকেও মেনে নিতে হবে, আমদানি বাণিজ্যকেও মেনে নিতে হবে। আমরা যারা সার্ভিস দিচ্ছি কেউ নিজের ক্ষতি করে সেবা প্রদান করতে পারবো না।
ডিপোগুলোতে রপ্তানিকারকের পক্ষে শিপিং এজেন্ট আর আমদানিকারকের পক্ষে চার্জ পরিশোধ করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। তারা চার্জ বাড়ানোর বিপক্ষে না হলেও তাগিদ দিয়েছে যৌক্তিকপর্যায়ে রাখার।
সাইফ মেরিটাইম লি. এর সিইও আব্দুল্লাহ মো. জহির বলেন, ফুয়েলের কম্পোনেন্ট চার্জ তারা বাড়াতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তারা পুরো চার্জের ৪২ শতাংশ বাড়িয়ে ডিপো থেকে আমাদের নোটিশ দিচ্ছে।
সাইফ মেরিটাইম লি. এর সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, তারা বলছেন শুধু তেলের দাম সমন্বয় করেছেন, কিন্তু সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে চার্জ অনেক বেশি নিয়ে ফেলছে ডিপোগুলো। এটি নির্ধারন করা দরকার। এটি আরও সুন্দর হতো যদি বন্দর কর্তৃপক্ষ বসে সিদ্ধান্ত নিতে।
এদিকে ১৯টি বেসরকারি আইসিডিতে মাসে রপ্তানি পণ্য আর খালি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় গড়ে ৭০ হাজার। আর প্রায় ৩০ হাজারের মতো হ্যান্ডলিং হয় আমদানির কন্টেইনার।