অবশেষে অভিযানের ধাক্কা আর আমদানির খবরে মিলছে স্বস্তি ফেরার ইঙ্গিত। কিছুটা কমলো ডিম ও মুরগির দাম। তবে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল প্রায় সব নিত্যপণ্য।
আমদানি ও অভিযানের খবরে ডজনে ২০ টাকা কমেছে ডিমের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে এক ডজন ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর মুদি দোকানে প্রতিটি ডিম ১১-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুইদিনে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা কমেছে। আসলে ডিমের দাম পুরোপুরি নির্ভর করে গাজীপুরের ব্যবসায়ীদের ওপর। গাজীপুরে অভিযান চালালে কয়েকদিনের মধ্যে ডিমের দাম আরও কমে যাবে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।
সবজির উর্ধ্বমুখি দামে এর ক্রেতা যেন কমছে ধীরে ধীরে। যাতে হতাশ বিক্রেতারা। এর মাঝেই একটু সুখবর, দাম কমতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, টমেটো বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
দামি এই সবজিগুলোর পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজির। বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এদিকে ট্রয়লেট্রিজ-মনোহারি পণ্যের বাজারে স্বস্তি নেই। প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে বাড়ছে সাবান, শ্যাম্পু, প্যাকেটজাত দুধ, নানা ধরণের শুকনো খাবারের দাম। একটাই অজুহাত ডলার ও জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি। তবে স্বস্তি নেই মসলাজাতীয় পণ্যের বাজারেও। জিরা, এলাচ, নানা ধরনের গুড়োসহ পুরো মসলার বাজারই অস্থির। আর নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। আগের দরে বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ।