১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়লো ১৬ টাকা।
আগস্ট মাসে কমার পর আবার বাড়লো এলপিজির দাম। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ডলার ও জ্বালানির দামের সংকটের মধ্যে এলপিজির দাম কমেছে। কিন্তু বেড়েছে ডলারের দাম। এ কারণে আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি কেজিতে এলপিজির দাম বাড়লো ১ টাকা ২৬ পয়সা। এই হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়লো ১৬ টাকা। একইভাবে দাম বেড়েছে অটোগ্যাসেরও।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। নির্ধারিত নতুন দাম দুপুর ১টা থেকেই কার্যকর হবে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক। এ সময় সচিব খলিলুর রহমান, সদস্য মোকবুল-ই ইলাহিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিকেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা, যা আগস্ট মাসে ছিল ১০১ টাকা ৬২ পয়সা। এর আগের মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে ছিল ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা। সেই হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম পড়বে ১ হাজার ২৩৫ টাকা, যা আগস্ট মাসে ছিল ১ হাজার ২১৯ টাকা এবং জুলাই মাসে ছিল ১ হাজার ২৫৪ টাকা। আর জুন মাসে ছিল ১ হাজার ২৪২ টাকা।
এদিকে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৫৭ টাকা ৫৫ পয়সা নির্ধারণ করেছে কমিশন, যা আগস্ট মাসে ছিল ৫৬ টাকা ৮৫ পয়সা এবং জুলাই মাসে ছিল ৫৮ টাকা ৪৬ পয়সা। এই হিসাবে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দাম বেড়েছে ৭ পয়সা।
এ ছাড়া বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের এলপিজির দাম কিছুটা বেড়েছে। রেটিকুলেটেড এলপিজি গ্যাসীয় অবস্থায় প্রতি লিটারের দাম আগস্টে ছিল ০ দশমিক ২১৮৬ টাকা, সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ০ দশমিক ২২১৪ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৬৫০ মার্কিন ডলার এবং ৬৩০ মার্কিন ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬৩৭ মার্কিন ডলার বিবেচনায় এই দাম নির্ধারণ করেছে কমিশন।
১২ কেজি সিলিন্ডার ছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই বাড়ানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। তবে সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দামের পরিবর্তন হয়নি। তাই সেটি আগের দাম ৫৯১ টাকাই রয়েছে।
বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম কমেছে। যদিও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর আমাদের এলপিজির দাম ঘোষণার কথা থাকলেও এলপিজি মালিকদের সঙ্গে ডলারের দাম নির্ধারণ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। এদিকে আমাদের কমিশনের চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকায় দেরি হয়েছে। আমরা এলপিজি কোম্পানিগুলোকে তাদের এলসি সেটেলমেন্টের কাগজপত্র দিতে বলেছিলাম। ১৬টি প্রতিষ্ঠান কাগজপত্র জমা দিয়েছে। সব যাচাই-বাছাই করেই এবার ডলারের দাম নির্ধারণ করে এলপিজির দাম ঠিক করা হয়েছে।