২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা করা হয়, পরবর্তীতে যোগ হয় বিস্ফোরক আইনের ধারা।
জজ মিয়া নাটক, বারবার তদন্ত ও তৎকালীন ৪ দলীয় জোটের হস্তক্ষেপে নষ্ট হয়, মামলার আলামত। হামলা নিয়ে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান এক বয়ানে বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তারেক রহমান-লুৎফুজ্জামান বাবরদের পরিকল্পনায় এ হামলা হয়।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে বহুল আলোচিত এ মামলায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, পলাতক তারেক রহমানসহ আরো ১৯ জনকে। ১১ জনকে দেয়া হয় স্বল্প মেয়াদে জেল। তবে রায়ের ৪ বছর পরও এখনও আপিল শুনানি হয়নি হাইকোর্টে।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, আপিল দ্রুত শুনানি আবেদন করা হয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে। শুনানিতে সব আসামির সাজা বহাল চাইবেন তারা।
এদিকে তারেক রহমানসহ পলাতকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ বিষয়ে কাজ করছে সরকার।
তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলামের দাবি এ মামলায় উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের।
তারেক রহমানসহ ১৬ আসামি বিদেশে পলাতক আছেন। অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, মুফতি হান্নানসহ বাকি ৩ জনের।