ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর)। সকাল ৮টা থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কমিশন। ৮৪৮টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোট হবে ৮৩৮ ইউপিতে। চারটি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়েছে। একটির ভোট বাতিল করেছে ইসি। আর পাঁচটিতে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২৬টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ উপলক্ষে কেন্দ্র পাহারায় নিয়োজিত রয়েছে ২০ জনের ফোর্স। নির্বাচনী অপরাধের বিচার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছে ৬৭০ জন বিচারিক ও নির্বাহী হাকিম। এছাড়াও পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব ও কোস্ট গার্ডের ভ্রাম্যমাণ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে।
ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে ৮১ জন, সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ৭৩ জন ও সাধারণ আসনের সদস্য পদে ২০৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
৮৩৮ ইউপিতে মোট ১ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ২২৬ ভোটার ৮ হাজার ৪৯২টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৪ লাখ ৫ হাজার ৮৩১ জন, মহিলা ভোটার ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৯ জন ও হিজড়া ভোটার ১৬ জন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ৩১০ জন প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ হাজার ১৬১ ও সাধারণ সদস্য পদে ২৮ হাজার ৭৪৭ অর্থাৎ মোট ৪১ হাজার ২১৮ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ইতোমধ্যে ১২ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত বাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। বুধবার (১০ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত সব যন্ত্রচালিত যান (ইসির অনুমতিপ্রাপ্ত যানবাহন ব্যতীত) চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রচারের সময়ও শেষ হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের আগ পর্যন্ত কোনো মিছিল, শোভাযাত্রা করা যাবে না।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৭টি দল অংশ প্রার্থী দিয়েছে। দলগুলো হলো—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কংগ্রেস, জাকের পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাসদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি।