বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ওঠা-নামার মধ্যে রয়েছে। তবে শুক্রবার (১২ আগস্ট) মূল্যবান ধাতুটির মূল্য কমেছে। যদিও সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৪ সপ্তাহের মধ্যে দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার আশঙ্কা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স, সিএনবিসিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামীতে সুদহার বাড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ইতোমধ্যে দেশটির বন্ড ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে ডলার নিম্নমুখী রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে স্বর্ণের দাম কমেছে। স্পট গোল্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ১৭৮৬ ডলার ৮৯ সেন্টে। আর ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ১৮০১ ডলার ১০ সেন্টে।
এদিন ডলারের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। তবে গত এক সপ্তাহে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির মূল্যমান পড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। মূলত দুর্বল ডলারই বুলিয়ন মার্কেটে প্রভাব ফেলেছে। তাতে স্বর্ণের মূল্য কমেছে।
এক বিবৃতিতে কমার্জব্যাংক জানিয়েছে, ফেডের চলমান মুদ্রানীতির কড়াকড়ি এখনও স্বর্ণের ওপর প্রভাব ফেলছে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে সতর্ক থাকছেন।
সাধারণত, ফেড সুদহার বাড়ালে ডলারের মূল্য বেড়ে যায়। কারণ, মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে বেশি সুদ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, স্বর্ণের দর কমে যায়। কারণ, দামি ধাতুটিতে সুদ পাওয়া যায় না।