তিন মাস সময় দেয়ার পর এখনো নিবন্ধনের বাইরে ৪ হাজারের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। অনিবন্ধিত এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে আগামীকাল সোমবার থেকে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
আহমেদুল কবীর বলেন, গত ২৬ মে অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি আমরা। এ সময়ে ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়ার ফলে নিবন্ধন পেয়েছে ১ হাজার ৪৮৯টি। এছাড়া নবায়ন করেছে ২ হাজার ৯৩০টি। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা।
আহমেদুল কবীর বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলো, দীর্ঘ ৩ মাস সময় দেয়া হলেও এখনো প্রায় ৪ হাজার প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করেনি। এর মধ্যে শর্ত পূরণ না করায় নিবন্ধনের অপেক্ষায় ১ হাজার ৯৪৬টি এবং নতুন করে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে ২ হাজার। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩ মাস পর আবারও মাঠে নামতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময়ে যারা নিবন্ধন পায়নি-এমন হাসপাতালও চালাতে পারবে না স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
তিনি বলেন, আমরা ৩ মাস সময় দিয়েছি। এ সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি কিংবা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রম এখনো ত্রুটিপূর্ণ।
স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করতে পারব। এরপরের অভিযান হবে যারা নিবন্ধিত হয়েছে, তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা দেখব। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। সেই তালিকা আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন হাসপাতাল কোন মানের। এরপর থেকে বেআইনিভাবে পরিচালিত হাসপাতালে কেউ চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার শিকার হলে সে দায় অধিদপ্তর নেবে না।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে অভিযান শেষ করতে চাই। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হযেছে। তারা সেবা দিতে চাইলে আগে নিবন্ধিত হতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেবার বড় একটি অংশ। সেগুলোতে সঠিক নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে না মানুষ।