শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

দেশেই তৈরি হবে ফাইজারের করোনা পিল

ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০২১

বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর করোনা টিকা ফাইজার এন বায়োএনটেকের অন্যতম প্রস্তুতাকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার চলতি নভেম্বরের শুরুর দিকে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ প্যাক্সলোভিড বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে।

এবার ফাইজারের সেই করোনা পিল তৈরি হবে বাংলাদেশসহ ৯৫ দেশে। বাংলাদেশসহ ৯৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে তৈরি হবে ফাইজারের মুখে খাওয়ার করোনার ওষুধ প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক (ভিন্ন নামে একই ওষুধ)। মঙ্গলবার জাতিসংঘভিত্তিক আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সংস্থা মেডিসিন পেটেন্ট পুলের(এমপিপি) সঙ্গে এ বিষয়ক চুক্তি হয়েছে ফাইজার কর্তৃপক্ষের।

কোম্পানিটির দাবি- তাদের অ্যান্টিভাইরাল পিল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

এই হার ফাইজারের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি মের্কের করোনা পিল মলনুপিরাভিরের চেয়ে বেশি। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সদ্য মার্কিন খাদ্য ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন পাওয়া ওষুধ মলনুপিরাভির করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

প্যাক্সলোভিড নামের ওষুধটি প্রস্তুতের পর মোট ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর এই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া করোনা রোগীরা সবাই মৃদু ও মাঝারি উপসর্গে ভুগছিলেন।

এমপিপির নির্বাহী পরিচালক চার্লস গোর এক সাক্ষাৎকারে সোমবারের চুক্তি সম্পর্কে বলেন, ‘করোনা মহামারির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে চলমান লড়াইয়ে আমাদের হাতে আরও একটি হাতিয়ার এসেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

তিনি আরও জানান, চুক্তিতে যে ৯৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৩ ভাগই বাস করেন এই দেশগুলোতে। ফলে এই দেশগুলোতে যদি করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ প্রস্তুত শুরু হয়, সেক্ষেত্রে উপকৃত হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ