বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

টিকা কেন্দ্রে মানা হচ্ছে না স্বাস্থবিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : আগস্ট ৮, ২০২১

মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশজুড়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় রোববার থেকে। প্রথম দিনেই পায় ৩০ লাখ মানুষকে দেয়া হয় টিকা। রোববারের মত সোমবার দ্বিতীয় দিনেই উৎসাহ নিয়েই চলছে টিকাদান কার্মসীচি। রোববার থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

 

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হলেও টিকাকেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা খুবই কম ছিল বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা।

সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজধানীর কামরঙ্গীরচরের হাজী আব্দুল আউয়াল উচ্চ বিদ্যালয় টিকাকেন্দ্র এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনের টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না এসব কেন্দ্রে।

 

মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। এই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা অনেকে জানান, তারা কেউ কেউ ভোর পাঁচটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানানোর দায়িত্বে ছিলেন তাদের তুলনায় টিকা নিতে আসা মানুষ ছিল অনেক বেশি। মানুষের তুলনায় জায়গাও ছিল কম। সঙ্গে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানাই ছিল দায়। আবার দুই জায়গাতেই অনেক মানুষ টিকা নিতে এসে না পেয়ে ফিরে গেছেন।

গণটিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিটিতে ৩০০ থেকে ৩৫০ ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে। জনসমাগম হচ্ছে চার-পাঁচ গুণ বেশি। সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে কি না প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা বারবার সবার কাছে অনুরোধ করেছি, এসএমএস পাওয়ার পর টিকাকেন্দ্রে আসতে। তা হলে অহেতুক জনসমাগম বন্ধ রাখা সম্ভব।

 

নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি, নাগরিক হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা যদি অযথা ভিড় না করি, এসএমএস পেয়ে টিকা দিতে যাই তবে জনসমাগম একেবারেই কমে আসে। প্রশাসনের সঙ্গে যারা কাজ করছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে আশা করি এ সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

স্বাস্থ্যবিধি না মানাতে পারলে টিকাকেন্দ্রগুলোতে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, তাতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায় বলে মন্তব্য করেছেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এসব বিবেচনায় নিলেই হতো। কিন্তু সেটা করা হয়নি। মানুষকেও আটকানো যাচ্ছে না। এখন যে অবস্থা তাতে ভয় হচ্ছে, এটা সামাল দিতে কতটুকু সক্ষম হবো আমরা?

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ