চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে।
এতে মোট বাজেটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তি ৩৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ঘাটতি বাজেট রয়েছে ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের ৩৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা সংশোধিত বাজেট অনুমোদিত হয়।
প্রস্তাবিত বাজেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৩০ কোটি কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ শতাংশ। তাঁদের পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৫ কোটি ৩ লাখ। গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১.৫২ শতাংশ। এছাড়া যানবাহন বাবদ অনুদান ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ আর মল্লিক প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ৩৩তম সিনেট সভায় এই বাজেট উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য চবির ৩৫১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। যেখানে বেতন ভাতাদি বাবদ বরাদ্দের পরিমাণ ছিলো ২২২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। তাছাড়া গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। এদিকে পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা রাখা হয়েছিলো।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে গুরুত্বারোপ করে সকল পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তাছাড়া এবারের বাজেটে গবেষণা খাতে আগের থেকে আরো বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে চবির অবস্থানকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা মান ও পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।’
উপাচার্য আরো বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমাপ্ত অবকাঠামো কাজগুলো খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
এছাড়া বিশ্বিবদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালযের প্রক্টরসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।