আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব স্কুল-কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক টিকা নিতে হবে। কারও শারীরিক সমস্যা থাকলে তা অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এ বিষয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী অক্টোবর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়ে সব প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। যেহেতু সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমছে। পুরোদমে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজও চলছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব স্কুল-কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক টিকা দুটি ডোজ নিতে হবে। যদি কারও শারীরিক সমস্যা থাকে তবে তা লিখিতভাবে অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। তাদের বিষয়ে অধিদপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সভায় জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। নতুন করে আরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তুলতে হবে। করোনা সংক্রমণের হার কত শতাংশে নামলে আমরা স্কুল-কলেজ খুলতে পারি আগামী সপ্তাহের শুরুতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আমরা সশরীরে শ্রেণিপাঠ কার্যক্রম শুরু করতে চাই।
তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে টিকার কার্যক্রম চলছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এর আওতায় এসেছে। এখানো যারা টিকার আওতায় আসতে পারেননি তাদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা নিতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠানের কতজন টিকা নিয়েছে সেটি অধিদপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ে চিঠি দিয়ে তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হবে। সেই তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা পাঠাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বান জানালে তিনি দুই-এদিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।