চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণে শুধুমাত্র পোশাক প্রস্তুতিকারী ১৬টি কোম্পানির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে রফতানির জন্য প্রস্তুত করা এবং আমদানি করা বহু পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন পোশাকখাত সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (৫ জুন) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত কারখানাগুলো হলো-শিনশিন অ্যাপারেলস, সি ব্লু, টিটেক্স, আরো ফ্রেবিক্স, ক্লিফটন অ্যাপারেল, ভেনুশুনা, সুজি ফ্যাশন, ইভাল ফ্যাশনস, সেনটেক্স, ফোর এইচ গ্রুপ, জেএসকে সুয়েটার, অনন্ত অ্যাপারেলস, চৈতি অ্যাপারেলস, প্যাসিফিক জিন্স, ইমপ্রেস এবং এমকে সুয়েটার।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোতে দুর্ঘটনার সময়ে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি কনটেইনার ছিল। এরমধ্যে অন্তত এক হাজার ৩০০ কনটেইনারে আমদানি ও রফতানিপণ্য ছিল। পণ্যভর্তি এসব কনটেইনারের অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়েছে আমদানি করা বহু পণ্য।
তিনি আরও জানান, বেশি পুড়েছে রফতানির জন্য প্রস্তুত করে রাখা পণ্য। রফতানির জন্য কনটেইনার ভর্তি করে রাখা অনেক পোশাক ছিল। সেগুলো রফতানির নির্ধারিত সময় (লিড টাইম) ছিল। কিন্তু পোশাক পুড়ে যাওয়ায় রফতানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। নির্ধারিত সময়ে রফতানি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বিএমের ডিপোতে বেশি ক্ষতি হয়েছে রফতানির উদ্দেশ্যে কনটেইনার বোঝাইকরা পণ্য। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার রফতানিপণ্য পুড়েছে। তবে আগুনে ঠিক কতটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য পুড়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। এখন পর্যন্ত আমরা ১৬টি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম পেয়েছি।
কারণ কি পরিমাণ পণ্য এই ডিপোতে আছে এবিষয়ে তথ্য জানতে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সব তথ্য পাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।