জলপাইগুড়িতে জনসভা সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনারকবলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হেলিকপ্টার। মাঝ আকাশে হঠাৎ ভয়ংকরভাবে কাঁপতে শুরু করে সেটি। দ্রুত জরুরি অবতরণ করানো হয় কপ্টারটিকে। আর এই অবতরণের পিছনে রয়েছেন হেলিপকপ্টারের দুই পাইলট। তাদের জন্যই বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার চালানোর দায়িত্ব ছিল দুই পাইলট ক্যাপ্টেন ভরত নিরঞ্জন ও ক্যাপ্টেন প্রশান্ত আসওয়ালের ওপরে। তারাই বিপদের আঁচ পেয়ে দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। সময়মতো কপ্টারের মুখও ঘুরিয়ে দেন তারা। আসলে উত্তরবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই হেলিকপ্টার ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে দু’জনের। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এদিন বিপদের আচ বুঝতে পারলেন তারা। বিপদ বুঝে তারা মাথা ঠান্ডা রেখে কপ্টারটিকে না অবতরণ করালে বড় বিপদ হতে পারতো বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সাধারণত কোনো এয়ার বেসে জরুরি অবতরণের সময় কর্তৃপক্ষের থেকে আলাদা করে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এদিনের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল, যে আর অনুমতি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেননি পাইলট। জানা গেছে, হেলিকপ্টার নড়তে থাকায় কোমরে ও পায়ে চোটও পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জী।
এদিকে মমতার হেলিকপ্টার দুর্যোগের কবলে পড়ার খবর কানে যেতেই ফোন করে খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল। রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে মতানৈক্য থাকলেও তার শারীরিক পরিস্থিতির খবর নিতে ভোলেননি সিভি আনন্দ বোস। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করেছেন শিক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়।