রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার মধ্যদিয়ে আজ সোমবার শুরু হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাপক হারে টিকাদান কর্মসূচি।
আর আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকার আটটি কেন্দ্রে একযোগে চলবে টিকাদান। মহামারীর দেড় বছর পেরিয়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর আজ থেকে বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে। শিশুদের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেয়া হচ্ছে।
টিকা পেতে স্কুল শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হচ্ছে; তারপর মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে টিকা নেয়ার তারিখ ও টিকাদান কেন্দ্রের নাম জানানো হবে। টিকা নেয়ার সময় টিকা কার্ড প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে করোনা টিকা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি আজ স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, আমরা এই টিকাদান কার্যক্রমে শিশুদের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ফাইজারের টিকা ব্যবহার করব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহায়তায় ঢাকায় আটটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্য সব স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেয়া হবে।
এগুলো হলো- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমণ্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল। ডা. শামসুল হক জানান, ফাইজারের টিকা দেয়া এবং ডাইলুয়েন্ট মিশ্রণের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের প্রয়োজন হয়।
এ কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রতিটিতে ২৫টি করে বুথ থাকবে। এসব স্কুল তাদের বাচ্চাদের টিকা দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দিতে পারবে। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কাউকে টিকা দেয়া হবে না। নিবন্ধন করতে হবে এবং টিকা নেয়ার জন্য টিকা কার্ড নিয়ে আসতে হবে। টিকা নেয়ার পর কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডা. শামসুল হক।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। তাদের কারও কোনো সমস্যা না হওয়ার পর স্কুলশিশুদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।