সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরের সময় বিখ্যাত আজমির শরীফ দরগায় যাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও আজমির শরীফে গিয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালে তার সাম্প্রতিকতম সফরেও আজমিরে যান তিনি। সেখানে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির মাজারে চাদর দিয়েছিলেন হাসিনা। তিনি ২০১০ সালেও মাজারটি পরিদর্শন করেন। সেই সময় তিনি দ্বিতীয়বারের মতো তার দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় কানেক্টিভিটি এবং বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে জি-নিউজের প্রতিবেদনে। উভয় পক্ষই ১৯৬৫-এর আগের রেল সংযোগ এবং অন্যান্য সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।
২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময়, দুই প্রধানমন্ত্রী চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগের মাধ্যমে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা রুটে তৃতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেন।
এর আগে দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগেই নদী নিয়ে বড় চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং ভারত।
চলতি মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকেই দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হতে পারে। তবে দুই দেশেই পানি ইস্যু স্পর্শকাতর হওয়ায় সমঝোতা নিয়ে বাইরে কোনো তথ্য প্রকাশের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
দ্য হিন্দুর খবরে জানানো হয়, শুধু বড় চুক্তিই নয় নদীর পানি বিষয়ক তথ্য এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়েও জেআরসি বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জেআরসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে আসাম থেকে বাংলাদেশে আসা কুশিয়ারা নদী নিয়ে একটি সমঝোতা হওয়ার শক্ত সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
এ ছাড়া পদ্মা নিয়েও বড় চুক্তি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে একটি কূটনৈতিক সূত্র। আগামী নির্বাচনের পূর্বে এটিই খুব সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ ভারত সফর। আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তা নিয়েও একটি চুক্তির জন্য ভারতকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে।