বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকার অবৈধ সরকার। আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হতে পারে না। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন করতে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এর জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আর এক্ষেত্রে যদি বাধা আসে, তাহলে যেখানে বাধা আসবে সেখানেই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) জ্বালানি তেলের দাম, গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ভোলায় বিএনপির কর্মী ও ছাত্রদল নেতা নিহতের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ করতে হবে, সেই সঙ্গে সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। বেগম জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি হয়রানিমূলক গায়েবী মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আর আমাদের এই আন্দোলন চলবেই। যেখানে বাধা সেখানে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের লোক সমাগমই প্রমাণ করছে সরকার দ্রুতই বিদায় হবে। পৃথিবীর কোথাও এক লাফে এত টাকা জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির নজির নেই। সরকারী সিন্ডিকেটের লুটপাটের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর দায়ভার এখন জনগণের ওপর চেপেছে।
সরকারের ওপর অভিযোগ চাপিয়ে তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে সরকার। টাকার অভাবে এলসি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করতে কুইকরেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প করেছে সরকারের কাছের লোকরা। ভারসাম্যহীন অর্থনীতি চলছে বাংলাদেশে। দেশের জন্য ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে।