প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলেও সুইস ব্যাংকের তথ্য চাওয়া নিয়ে বক্তব্য ভুল ছিলো বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসি। শনিবার (২৭ আগস্ট) হাইকোর্টে এমন প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের কাছে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুইচ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশের ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, এ পর্যন্ত ১ জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক জানায়, সবশেষ তিনবারের চেষ্টায় সুইস ব্যাংক থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
হাইকোর্ট বলে, দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের চেষ্টার পরও যেহেতু সুইস ব্যাংক থেকে অর্থপাচারীদের তথ্য পাওয়া যায় নি, সুতরাং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য প্রত্যাহার করা ছাড়া উপায় নেই।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চে হাইকোর্ট বলে, দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের তথ্যের সাথে, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সাংঘর্ষিক। তার বক্তব্যের কারনে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে কাল রোববার (২৮ আগস্ট) আদেশ দেবে হাইকোর্ট।