সিলেট ও সুনামগঞ্জে নদনদীতে বন্যার পানি ধীরে কমছে। তবে শহর ও জনপদের বেশির ভাগ এলাকার মানুষ এখনও পানিবন্দি। সিলেট নগরী থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সড়কপথে যোগযোগ স্বাাভাবিক হয়নি। টানা চারদিন ধরে পানিবন্দি থাকায় জমানো খাবার ফুরিয়ে গেছে বাসিন্দাদের। বন্যা দুর্গত মানুষের কষ্ট অবর্ণনীয়। এদিকে, নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের অনেক এলাকা।
টানা পাঁচদিন ধরে পানিতে ডুবে আছে সিলেট বিভাগের চার জেলার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ঘর বাড়ি। বিগত বছরে আগে কখনোই এমন ভয়াবহ পানি দেখেনি সিলেটবাসী। তাইতো অপ্রস্তুত সিলেট বিভাগের মানুষ থই থই পানিতে বন্দি।
সোমবার বৃষ্টি না হওয়ায়, দুই জেলার শহরের পানি কিছুটা কমে এলেও উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি আগের মতই। সিলেট শহরের কিছু কিছু উঁচু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। সেখানে মানুষ খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট।
পানিবন্দি জীবনে অনেক পরিবারে জমানো খাবার প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশ্রয়কেন্দ্রেও সংকট আছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের।
সুনামগঞ্জে পানি কিছুটা কমে এলেও এখনো তলিয়ে আছে শহর। বহুতল ভবনগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। খাবার আর বিশুদ্ধ পানির সংকটে পুরো জেলার মানুষ।
এদিকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নামা ঢলে হবিগঞ্জের ৪টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে পানি ঢুকেছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠায় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
মৌলভীবাজারের কয়েকটি উপজেলা তলিয়েছে বানের পানিতে। জেলার ৩৫টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি। বিদ্যুতের সাব স্টেশনে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কুশিয়ার নদীর পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়নবোর্ড।