অর্ধেক যাত্রী এবং ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নিলে টোটাল ভাড়া আসে ১৬ হাজার টাকা। এখন বলেন কীভাবে বাস রাস্তায় নামাই? এতে মালিকের কী থাকবে, আর আমাদের কী বেতন দেবে?’
বুধবার (১৪ জুলাই) ঢাকা-বরিশাল রুটের সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. হাবিব হোসেন ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। আজ বুধবার রাত থেকে শর্ত সাপেক্ষে দূরপাল্লার বাস চালু হচ্ছে। এতে সরব হয়ে উঠেছে রাজধানীর গাবতলীর দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলো। কাউন্টারগুলোতে আগাম টিকিটও বিক্রি হচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে অধিকাংশ পরিবহণ শ্রমিকই হাবিব হোসেনের মতো মত প্রকাশ করেন। ঈদের সময় অল্প যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে নারাজ পরিবহণ শ্রমিক ও মালিকরা।
মো. হাবিব হোসেন বলেন, মালিকপক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে, বাসের প্রতিটি সিটের টিকিট বিক্রি করার জন্য। যদিও নিয়ম হচ্ছে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করার। কিন্তু ঈদের সময় যাত্রী নিয়ে গেলেও ঢাকা আসতে হবে খালি বাস নিয়ে। একদিকে অর্ধেক যাত্রী নিলে এমনিতেও খরচের টাকাই ওঠে না, আবার খালি আসতে হলে দিগুণ লস। তাই আমরা আপাতত প্রতিটি আসনই বিক্রি করছি। পরিবর্তী নির্দেশনা এলে সেই অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করব।’
সাকুরা পরিবহনের ম্যানেজার নিজাম হোসেন বলেন, আগামীকাল থেকে লকডাউন শিথিল করা হবে। তবে এই সাত/আট দিনের জন্য বাস রাস্তায় নামানো হবে কি না সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আর নামালেও কীভাবে যাত্রী পরিবহণ করা হবে সেটা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে মালিকের সঙ্গে। লস দিয়েতো গাড়ি চালানো যাবে না। সব বাস নামানো হবে কি না তা নিয়েও ভাবনা চলছে। তবে আমাদের কোম্পানির অল্প কিছু বাস চলাচল করবে এমন নির্দেশনা কাউন্টারে দেওয়া হয়েছে।
দিগন্ত পরিবহণের কাউন্টার মাস্টার সোহেল মিয়া বলেন, কাল থেকে বাস চলাচল করবে এমন নির্দেশনা এসেছে। কিন্তু আমাদের পরিবহণ চলাচল করবে কি না সে বিষয়ে মালিকপক্ষ কিছুই বলেনি। আমরা অপেক্ষা করছি মালিকের সিদ্ধান্তের জন্য। যদি বাস চলাচল করে, তাহলে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাওয়া যেত, যদি কোরবানি না হতো। এখনতো আসার সময় গাড়ি খালি আসতে হবে। তাই লসের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে গণপরিবহন চালুর এই খবরে রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে শুরু হয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের আনাগোনা। চলছে কাউন্টার ও গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। গাড়িগুলোর ব্যাটারি ও ইঞ্জিন পরীক্ষা করছেন শ্রমিকরা।