সারাদেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে দু'দিনে প্রায় ৯শটি সিলগালা করা হয়েছে। এ অভিযান আরো জোরদার হবে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে সারাদেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশনা জারি করা হয়। সেই সময় শেষ হলো রোববার।
৭২ ঘন্টার সময়সীমা বেধে দেয়া হলেও অবৈধ হাসপতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শনিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে প্রশাসন। আজ রোববার (২৯শে মে) রাজধানীর বাড্ডায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান টিম। সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় একটি ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া যাত্রাবাড়ির শনিরআখড়ায় চারটি হাসপাতাল সিলগলা করে দেয় স্ব্স্থ্যা অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ২২৯টি, রাজশাহীতে ৭৮, রংপুরে ১৪, ময়মনসিংহে ৯৬, বরিশালে ৫৯, সিলেটে ৩৫ ও খুলনায় ২০৪টিসহ সারাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৮২টি অবৈধ, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক বেলাল হোসেন জানান, সারাদেশে কত সংখ্যাক অবৈধ হাসপতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে তার কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে এসব অবৈধ হাসপতাল বন্ধে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।