ইরানের সেনাবাহিনী মাটির নিচে অবস্থিত তাদের একটি ড্রোন ঘাঁটির ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং এ বিষয়ে অল্প বর্ণনা দিয়েছে। তবে কোথায় এ ঘাঁটি অবস্থিত সেই জায়গার নাম নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেনি।
আল অ্যারাবিয়া ও রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে জাগরোস পর্বতমালা এলাকায় দেশটির বিমানবাহিনীর একটি ভূগর্ভস্থ ড্রোনঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ওই ভিডিও সম্প্রচার করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গালফ অঞ্চলে ছোটখাটো উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর ড্রোন ঘাঁটির ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করল ইরান। ছবিতে দেখা যায় সারি সারি দাঁড় করানো আছে ড্রোন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, জাগরোস পাহাড়গুলোর নিচে ১০০টি ড্রোন রাখা আছে, এর মধ্যে আছে আবাবিল-৫ ড্রোন।
রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, এ ড্রোনটিতে সংযুক্ত করা আছে কায়েম-৯ মিসাইল। যুক্তরাষ্ট্রের হেলফেয়ার মিসাইলের আদলে এ মিসাইলটি ইরানে তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে যে সাংবাদিক এ গোপন এ ড্রোন ঘাঁটির ছবি ও ভিডিও করে এনেছেন তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কারমানশাহ থেকে হেলিকপ্টারে ওঠেন তিনি। ৪৫ মিনিট ভ্রমণ শেষে একটি গোপন ড্রোন ঘাঁটিতে পৌঁছান তিনি। ঘাঁটিতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত তার চোখ বাঁধা ছিল।
ওই সাংবাদিক জানান, কয়েকশ মিটার লম্বা ঘাঁটিতে ড্রোনগুলো সাজানো আছে।
ড্রোনগুলো নিয়ে সেনা কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুলরহিম মৌসাভি টিভিতে বলেন, কোনো সন্দেহ নেই ইসলামিক রিপাবলিক ইরানের ড্রোনগুলো এ অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী। ড্রোন আপডেট করার যে ক্ষমতা আমাদের আছে তা দুর্দমনীয়।
ঘাঁটিটিকে ইরানের ‘কৌশলগত ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানোর জন্য একটি নিরাপদ স্থান’ বলে উল্লেখ করেছেন জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই কোনো হুমকিকে ছোট করে দেখি না। আমরা কখনোই এটা মনে করি না যে শত্রুরা ঘুমিয়ে আছে। আমরা সব সময় সতর্ক আছি, জেগে আছি।’
এদিকে ড্রোনঘাঁটিটির অবস্থান মাটির কয়েক শ মিটার নিচে বলে ভিডিওতে জানিয়েছেন ইরানের সেনাবাহিনী কমান্ডার রহিম মৌসাভি। তবে এর বেশি কিছু জানাননি তিনি।