সাধারণ জনগণের সাথে সরকারি কর্মচারীর একটা পার্থক্য আছে। জনগণ, সরকারি কর্মচারী, আইনজীবী প্রত্যেকে আলাদা আলাদা একেকটা ক্লাসের অন্তর্ভূক্ত।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, অনেকেই সরকারি কর্মচারীদের হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে থাকেন। তখন ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। এই ভোগান্তি এড়াতেই সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি একটা বিধান রাখা হয়েছিল। তবে আদালত আজকে যে রায় দিয়েছেন সে রায়ের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আপিল করব।
সাধারণ মানুষও এমন হয়রানির স্বীকার হতে পারে, রিপোর্টারের এমন উত্তরে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের সাথে তাদের একটা পার্থক্য আছে। আব্দুর সবুরের মামলাটি যদি আপনারা দেখেন সেখানে আপিল বিভাগ বলেছে, সবাই সমান হবে না। জনগণ, সরকারী কর্মচারী, আইনজীবী প্রত্যেকে আলাদা আলাদা একেকটা ক্লাসের অন্তর্ভূক্ত।
এর আগে সকালে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগবেনা বলে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় দেয়া হয়।
সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারাটি সংবিধান পরিপন্থি বলে তা বাতিল করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এই বিধানটিকে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক বলেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্ব অনুমতি নেওয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।