দেশে মাত্র ১৪ লাখ মানুষ পেনশন পেয়ে থাকেন। কারণ তারা সরকারি চাকুরে। প্রজতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এই ব্যক্তিদের জন্য কেবল পেনশন সুবিধা রয়েছে। অন্য পেশার মানুষের জন্য কোনো পেনশন সুবিধা নেই। অথচ তারাও কৃষিকাজসহ নানা ধরনের উৎপাদন ও ব্যবসাসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সেবা করে থাকেন। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই তাদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু করছে সরকার। সেটি অনুমোদনের অপেক্ষায়।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার (১০ মার্চ) বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এসব কথা বলেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। অর্থ সচিব বলেন, সবার জন্য পেনশন অর্থাৎ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। এরপর তা কার্যকর হবে।
অর্থসচিব বলেন, 'সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা দ্রুত চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের সব ধরনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে এই ব্যবস্থা চালুর জন্য রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে।'
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার পেশ করা বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবার জন্য পেনশনব্যবস্থা চালু হচ্ছে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের মধ্যেই। দেশের ১৮-৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক সর্বজনীন ব্যবস্থার আওতায় আসবে।