বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে শতাধিক ভুল পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিচারপতি মুজিবুর রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে ‘অসম্পূর্ণ’ ও ‘ভুলভাবে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ২০২০ সালের ১০ ই মার্চ উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তখনকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণের সময় সমাবেশে উপস্থিত থেকে যারা ভাষণটি সরাসরি শুনেছেন, তাদের কাউকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠন করতে বলে আদালত। রিট আবেদনটি করেন রাজবাড়ীর কাশেদ আলী।
তিনি জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর পড়ার পর তিনি অষ্টম শ্রেণির বাংলা পাঠ্য বইয়ে 'এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' গদ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে ৫০টির বেশি ‘ভুল’ খুঁজে পান।এরপর ভুলগুলো সংশোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব বরাবরে একটি আবেদন করেন। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে ২০২০ সালের ৫ মার্চ হাইকোর্টে এই রিট করেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে ভাষণ শেষ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঐতিহাসিক এ ভাষণে জাতির জনক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ৭ কোটি বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠের এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। প্রস্তুত করেছিল মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে। প্রতিটি বাঙালি হৃদয়কে আন্দোলিত করে এ ভাষণ।