৫৬ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো বড় ফুটবল সাফল্য জিতে উৎসবে ভাসছে ইংল্যান্ড। সোমবার লন্ডনে সাধারণের সামনে হাজির হয়েছিলো পুরো দল।
সাদার শুভ্রতা চারপাশে। ট্রাফেলগার স্কয়ার জনারন্য। সবাই এসেছে ইতিহাসের সঙ্গী দলটাকে স্বাগত জানাতে। একনজর দেখতে। অপেক্ষার প্রহর শেষে দিনের আলোর প্রখরতা বাড়িয়ে একে একে এলেন লিয়া, ক্লোয়িরা। হাতে শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক।
হোক সেটা ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্ব। ইংলিশদের কাছে এটাই বিশ্বজয়ের শামিল। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জেতার পর গত ৫৬ বছর ধরে তারা অপেক্ষা করে আছে ফুটবলে এমন একটা সাফল্যের জন্য সেটাই মিলেছে রোববার। আটবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা লায়ওনেসেস।
ওয়েম্বলি থেকে যে উৎসবের শুরু তা ছড়িয়েছে টিম হোটেল থেকে ট্রাফেলগার স্কয়ার পর্যন্ত। অধিনায়ক লিয়া উইলিয়ামসন জানিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় খেলা যতটা হয়েছে তার চেয়ে বেশি উৎসব। রাত চারটা পর্যন্ত হোটেলে নেচে-গেয়ে উদযাপন করেছেন ইংলিশ মেয়েরা। তাতেও উৎসাহের কমতি নেই, ক্লান্তির দেখা নেই।
তবে নতুন প্রজন্মের জন্য একটা বার্তাও দিয়ে গেলেন সফল অধিনায়ক। লিয়া উইলিয়ামসন বলেন, আমাদের এই সাফল্য ইংল্যান্ডের সব নারী ও মেয়েদের জন্য। যারা আমাদের দেখে উৎসাহ পেতে পারে। আমাদের এই দলটা খেলাটিকে বদলে দিয়েছে ইংল্যান্ডে, ইউরোপে এমনকি বিশ্বেও। আমরা ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম ইংল্যান্ডের সাফল্যের পথ সেটা পেরেছি।
সব জায়গাতেই মধ্যমনি সারিনা উইগম্যান। প্রথম নারী কোচ হিসেবে দ্বিতীয় ইউরো জেতা এই ডাচ অবশ্য আনন্দিত হলেও ভেসে যাচ্ছেন না মেয়েদের মত।
গ্রেটার লন্ডন কমিউনিটির আয়োজনে ছিলেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। খোলা বাসে প্যারেড না হওয়ার আক্ষেপ থাকলেও রানীর শুভেচ্ছা আর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাসভবন দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ডাক পাওয়ার সুসংবাদ মিলেছে।
তবে সবচেয়ে বড় ঘোষণাটা মেয়েরাই দিয়েছে। পরের গন্তব্য বিশ্বজয়।