স্কুলে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ রাজশাহীর চার স্কুলছাত্রীকে ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮শে জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাদের উদ্ধার করে রাজপাড়া থানা পুলিশ। সেই সঙ্গে চার স্কুলছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ঢাকায় দেহব্যবসার জন্য নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী নগরীর বুলনপুর এলাকার চাঁদনী নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উদ্ধারের পর শুক্রবার সকালে চার স্কুলছাত্রীকে প্রথমে রাজপাড়া থানায় আনা হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়। নিখোঁজ চার শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন পঞ্চম, দুজন সপ্তম ও একজন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের সবার বাড়ি রাজশাহী নগরীর টুলটুলিপাড়ায়। তারা নগরীর মহিষবাথান আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃত চাঁদনী (৩০) রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরের সুরুজ আলীর স্ত্রী। সে নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা।
রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ২৬শে জুলাই সকালে চার স্কুল শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেলে তারা বিাড় ফিরে না আসলে অভিভাবকরা খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে। এর এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ঐ চার স্কুল শিক্ষার্থীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে।
পরবর্তীতে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায় সময় ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। এসময় চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে এক কিশোরীর পিতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি আরো জানায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার একটি টিম ২৯শে জুলাই দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার সাভার পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে আসামি চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও তার হেফাজত থেকে চার স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি দেহব্যবসা কার্যকলাপের জন্য স্কুল শিক্ষার্থীদের ঢাকায় নিয়ে যাবার কথা স্বীকার করে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।