দুই বছরের কম বয়সী একটি শিশুর চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন পুরে মিশরবাসী। কারণ শিশুটি ‘স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রোফি’ নামে মেরুদণ্ডের জটিল রোগে আক্রান্ত। এই রোগ থেকে শিশুটিকে বাঁচাতে দুই বছর বয়সের মধ্যে তাকে একটি ইনজেকশন দিতে হবে। যদি দুই বছর বয়সের মধ্যে শিশুটিকে এই ইনজেকশন দেওয়া না যায় তাহলে তাকে হয়ত আর বাঁচানো সম্ভব হবে না।
তবে শিশুটির এ চিকিৎসা খরচের ব্যয় ২.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা মিশরীয় টাকায় ৪০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। আর যে ইনজেকশনটি প্রয়োজন তা হলো বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের পক্ষে শিশুটির চিকিৎসা করানো একেবারেই অসম্ভব।
শিশুটির নাম রুকায়। বয়স ১ বছর ১১ মাস, সেক্ষেত্রে তার চিকিৎসায় জন্য বাকী আছে মাত্র ১ মাস। এমন পরিস্থিতিতে শিশুটির বাবা কাইয়ার সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনে সাড়া দিয়েছেন মিশরের ব্যবসায়ী, ডাক্তার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে সর্ব স্তরের জনগণ। বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। তারা যোগাড় করে দেন ওষুধের প্রায় ২০ কোটি টাকা!
এছাড়া কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ শিশুদের জন্য তাদের সমাবর্তন বাতিল করে দেন। সমাবর্তনের সব টাকা রুকাইয়াকে দিয়ে দেন তারা।
শিশুটির জন্য ‘জোলগেনসমা’ নামে একটি ইনজেকশন প্রয়োজন। যে ইনজেকশন শুধুমাত্র সুইজারল্যান্ডের নোভারতিস ফার্মাসিউক্যালস উৎপাদন করে। ডলারে এর মূল্য ২.১ মিলিয়ন। সূত্র: আল আরাবিয়া