প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে দ্রুতহারে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে বাংলাদেশের। মে, জুন দুই মাসে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে গড়ে প্রায় ২শ’ শতাংশ হারে। যেখানে চীনের বেড়েছে ৪৫ ও ভিয়েতনামের গড়ে ৫৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে বছরের প্রথম ৬ মাসে মার্কিনিদের মাটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশি হলেও মোট রপ্তানিতে এগিয়ে রয়েছে চীন ও ভিয়েতনাম।
গত বছরের খরা কাটিয়ে প্রতিদ্বন্দীদের চেয়ে এখন দ্রুতহারে বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি। মে মাসে ২৫৩ শতাংশ বৃদ্ধির পর জুনে বেড়েছে ১৩৯ শতাংশ।
ফলে মার্কিনিদের মাটিতে এই ২ মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি যেখানে বেড়েছে গড়ে প্রায় ২শ শতাংশ হারে, যেখানে চীনের বেড়েছে ৪৫ ও ভিয়েতনামের ৫৮ শতাংশ। সবমিলিয়ে এই দুই মাসে দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে প্রায় ১১৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক, আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৩ গুণের মত বেশি।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অফিস অব টেক্সটাইল ও এপারেল, ওটেক্সার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ বছরের প্রথম ৬ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২৭ শতাংশ। চীনের বেড়েছে ২৬ দশমিক ৭৭ ও ভিয়েতনামের ২০ শতাংশের কিছু বেশি। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬৬ কোটি ডলার বেড়ে হয়েছে ৩৩২ কোটি ডলার। তবে দ্রুতহারে রপ্তানি বাড়লেও এখনো মার্কিনিদের মাটিতে মোট রপ্তানিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে চীন ও ভিয়েতনাম।
ওটেক্সার তথ্যে দেখা যায়, করোনায় পোশাকের দাম কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ, চীন কিংবা ভিয়েতনাম সব দেশই বেশি কাপড় রপ্তানি করলেও আয় বাড়েনি সেই অনুপাতে।