শুক্রবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, তারা মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করবে। এশিয়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার এই বিরল পদক্ষেপকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার আইনমন্ত্রী ওয়ান জুনাইদি তুয়ানকু জাফর বলেছেন, গুরুতর অপরাধের জন্য বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আদালতের বিবেচনার ভিত্তিতে ‘বিকল্প শাস্তি’ দেওয়া হবে। যা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার উন্নতিতে দেশের নেতৃত্বের স্বচ্ছতা প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, সব পক্ষের অধিকার নিশ্চিত করার ওপর সরকার জোর দিচ্ছে। প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করা হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মাদকের অপরাধসহ বেশ কয়েকটি অপরাধের জন্যে মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প সাজা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
উল্লেখ্য বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেয়া দেশ ভিয়েতনাম তাদের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তার অনেক প্রতিবেশীর মতো মালয়েশিয়ায় মাদক পাচারকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডসহ কুখ্যাত মাদক আইন বিদ্যমান। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের মতো মালয়েশিয়ার মাদক আইন অত্যন্ত কঠোর। পাচারকারীদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে।
২০১৮ সালে মালয়েশিয়া সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আইনগুলো বাতিল হয়নি। এছাড়া আদালতে দোষী সাব্যস্ত মাদক পাচারকারীদের বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধানও থেকে গেছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, খুন, ধর্ষণের সাজা হিসেবে এখনও দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড বাধ্যতামূলক।
মৃত্যুদণ্ড বিলোপে মানবাধিকার গ্রুপগুলোর তিন বছর ধরে প্রচার চালানোর পর শুক্রবারের এ সিদ্ধান্ত এসেছে। মানবাধিকারগুলো গ্রুপগুলো বলছে, এই সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়া এবং এই অঞ্চলের জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’। সূত্র: সিএনএন