সাম্প্রতিককালে হিরো আলম তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন আপত্তিকর, মানহানিকর, বিধি বহির্ভূত ভিডিও ও অন্যান্য কনটেন্ট শেয়ার করে। এ কারণে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের মাধ্যমে নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম করে থাকে। এই সাইবার পেট্রোলিংয়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় বুধবার (২৭ জুলাই) হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, অর্থ রোজগারের জন্যই মূলত সে বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যুকেন্দ্রিক কন্টেন্ট তৈরি করে থাকে। গুণগত মানের চেয়ে সে বেশি ভিউ এবং বেশি উপার্জনের লক্ষ্যে কন্টেন্ট নির্মাণ করে থাকে।
এছাড়াও তার কনটেন্টে বাংলাদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক বিকৃত করে অশোভনভাবে উপস্থাপন করার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তার জানার ঘাটতি থাকার কারণে এমন হয়েছে।
দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও মডেল-অভিনেত্রী নিয়ে অশ্লীল গান (যেমন: পালালো পালালো মুরাদ হাসান, রাতের রানী পিয়াসা, মৌ ও পরীমণি নিয়ে বিভিন্ন গান) কেন তৈরি করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এছাড়াও বিভিন্ন গুণী শিল্পী ও কলা-কুশলীদের গান বিকৃত সুরে গাওয়া বা বাঙালির সংস্কৃতি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা, জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয় এমন কন্টেন্ট তৈরি ও প্রকাশ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসব জিজ্ঞাসাবাদে সে তার ভুল স্বীকার করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের কার্যকলাপ করবে না মর্মে সে মুচলেকা দিয়েছে।
মুচলেকায় উল্লেখিত বিষয়সমূহ হচ্ছে- অভিনয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো বিশেষ বাহিনীর পোশাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিকৃতভাবে উপস্থাপন না করে তা যথাযথ নিয়ম মেনে সে সঠিকভাবে উপস্থাপন করবে; বাঙালি সংস্কৃতি বিকৃতভাবে উপস্থাপন হয় এমন কোনো কনটেন্ট সে তৈরি ও প্রচার করবে না; ব্যঙ্গাত্মক, মানহানিকর, হেয় প্রতিপন্নমূলক কোনো কনটেন্ট সে তৈরি ও প্রচার করবে না ও এমন কোনো কনটেন্ট সে প্রচার করবে না, যাতে জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয়।