বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসুস আজ শনিবার (২৩ জুলাই) মাঙ্কিপক্স বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণার বিষয়ে হু’র বিশেষজ্ঞরা একমত না থাকা সত্ত্বেও ঘেব্রেয়াসুস এ সতর্কতা জারি করলেন। সিডিসির ২০ জুলাই প্রকাশিত তথ্যমতে, গত মে মাসের পর সারাবিশ্বের ৭২টি দেশে ১৫ হাজার ৮০০ মানুষ ইতোমধ্যে এতে আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও জানিয়েছিলো, শনিবার (২৩ জুলাই) মাঙ্কিপক্স বিষয়ে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করবেন ঘেব্রেয়াসুস। পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলির বাইরে মে মাসের শুরু থেকে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে ১ হাজারে বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে।
এক মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শুক্রবার(২৩ জুলাই) একটি ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা শোনান। তিনি বলেন, ‘সমকামী এবং উভকামীদের মধ্যে মাঙ্কিপক্স ছড়াচ্ছে ব্যাপক হারে। তাই এদের দ্রুত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হওয়া উচিত ।’
ন্যাশনাল অ্যান্ড গ্লোবাল হেলথ সংক্রান্ত ডব্লিউএইচও কোলাবোরেটিং সেন্টারের ডিরেক্টর লরেন্স গোস্টিন টুইটারে বলেন, মাত্র কয়েক সপ্তাহ যাবত আমরা মাঙ্কিপক্সের তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি লক্ষ্য করছি। এটা অনিবার্য যে আগামীতে এর মাত্রা নাটকীয়ভাবে বাড়বে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন না করলে বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক পরিণতি অপেক্ষা করছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ সংস্থা শুক্রবার (২২ জুলাই) মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসায় গুটিবসন্তের ভ্যাকসিন ইমনাভেক্স ব্যবহার অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। ডেনিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ব্যাভারিয়ান নর্ডিকের তৈরি ইমভেনেক্স গুটিবসন্ত প্রতিরোধে ২০১৩সাল থেকেই ইইউতে অনুমোদিত। মাঙ্কিপক্স ও গুটিবসন্তের ভাইরাসের মধ্যে মিল থাকার কারণে এটিকে মাঙ্কিপক্সের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গুটিবসন্ত একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা ১৯৭০ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম সনাক্ত হয়েছিল। আর মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের চেয়ে কম বিপজ্জনক ও সংক্রামক, যাকে ১৯৮০ সালে একবার নির্মূল করা হয়েছিল। সূত্র: ডেইলি মেইল