মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত বিসিএস কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার মিল্টনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। প্রায় তিন মাস আগে ওই পদে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর সেই সেটি বাতিল করা হয়েছিল।
জানা গেছে, প্রশ্নফাঁসের নাটের গুরু মিল্টন ৩১তম ব্যাচের একজন শিক্ষা কর্মকর্তা। রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছরের ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষা চলাকালে ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরি প্রার্থী সুমন জোয়ার্দার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন ও সাইফুলকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ মে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে সেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ওই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি ফাঁস করেছিলেন মিল্টন। তিনি ওই নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন।