ঢাকেশ্বরীতে মহালয়ার অনুষ্ঠানে মোমবাতি প্রজ্বলনে অংশ নেন বিক্রম দোরাইস্বামী ও সংগীতা দোরাইস্বামী
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। হাইকমিশনার সবাইকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সকালে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিক্রম দোরাইস্বামী মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনারের স্ত্রী সংগীতা দোরাইস্বামী।
এ সময় হাইকমিশনার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা সর্বসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়ার দিন থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষের। শুভ মহালয়ার দিনের শুরুতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার মর্ত্যলোকে আগমনের আমন্ত্রণ জানায়। মহালয়ার দিন স্থাপন করা হয় ঘট ও বিশেষ পূজা।
সনাতন শাস্ত্র অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের অবসান বা দেবীপক্ষের পূর্ববর্তী অবস্থাকে বলা হয় মহালয়া।
সনাতন শাস্ত্র মতে, ব্রহ্মার বর অনুযায়ী কোনো মহিষাসুরকে একমাত্র নারী শক্তির দ্বারা সম্ভব ছিল বধ করা। কোনো মানুষ বা দেবতা দ্বারা তাকে বধ করা সম্ভব ছিল না। তাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব শক্তি দ্বারা সৃষ্ট নারীশক্তি সিংহবাহিনী মা দুর্গা মহিষাসুরকে পরাজিত করে হত্যা করেন।
শাস্ত্র অনুযায়ী, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। আর এভাবেই মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গার আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে।
শাস্ত্র বলছে, মহালয়ার দিন থেকে দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা দেবী দুর্গা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়।
সনাতন পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় এবার দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আসবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে। এর ফল হচ্ছে ছত্রভঙ্গ। আর দেবী সপরিবারে স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন দোলায় (পালকি) চড়ে। যার ফল হচ্ছে মড়ক।
সনাতন পঞ্জিকা মতে আরও জানা যায়, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুভারম্ভ হবে। যথাক্রমে ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর নবমী ও ১৫ অক্টোবর দশমীর দিনে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় উৎসব সম্পন্ন হবে।