বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাহামরি করোনা। থমকে আছে অর্থনীতির চাকা ও মানক জীবন। এর মধ্যেও চলছে নানা আনন্দ আয়োজন। বিশেষ করে খেলাধুলা তো চলছেই।কোপা আমেরিকা ও ইউরোকাপও চলছে।এরই মধ্যে দেখতে দেখতে চলে এলো অলিম্পিক। কিন্তু দু:সংবাদ হলো অলিম্পিক শুরু হতে বাকী কেবল দু’সপ্তাহ। কিন্তু কোভিড সংক্রমণ ঊধ্র্বগামী। তাই আগেভাগেই রাজধানী টোকিওয় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিল জাপান।
এর মধ্যেই চলবে অলিম্পিক গেমস। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে টোকিও অলিম্পিক। চলবে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত। আর টোকিওতে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে ১২ জুলাই থেকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন বলে জানায় বিবিসি।
গতবছর করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল অলিম্পিক গেমস। এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয় গেমের সূচি। কিন্তু এ বছরও কমেনি ভাইরাসের প্রকোপ। অলিম্পিক এগিয়ে আসতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণও বাড়ছে।
গত বুধবার জাপানে নতুন ২ হাজার ১৮০ জনের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে টোকিওয় শনাক্ত হয়েছে ৯২০ জন, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৭১৪ জন বেশি এবং গত ১৩ মে’র পর সর্বোচ্চ। ডেল্টা ধরন ছড়ানো নিয়েও দেশটিতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাসের এই বিস্তারের মধ্যে অলিম্পিক গেমস এর বিরোধিতা করছেন অনেকেই। জুনে আশাহি শিম্বুন পত্রিকার এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, জাপানের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে দেওয়া বা বাতিল করার পক্ষে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, “করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের বিস্তার এবং দেশের বাদবাকি অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদেরকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা জরুরি অবস্থা জারি করছি।”
অলিম্পিকের আয়োজকরাও খেলার ইভেন্টে ক্রীড়াপ্রেমীদের সমাগম নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছেন। অলিম্পিক আয়োজক কমিটি এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাপান সরকারের বৈঠকের পরই টোকিওয় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, জরুরি অবস্থার কারণে অলিম্পিকের সব ক’টি ভেন্যুতে দর্শক উপস্থিতি ছাড়াই বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করতে বৃহস্পতিবার সম্মত হয়েছেন আয়োজকরা।