হাজার হাজার কোটি আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পি কে হালদার ভারতে আটকের পর দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে আছেন। রিমান্ড শেষে পি কে হালদারের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
তবে, পি কে হালদারকে দ্রুত দেশে ফেরাতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বুধবার সকালে হাইকোর্টে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ভারত সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক। পি কে হালদারের বিষয়ে ভারতের সব সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে দুদক।
গেল ১৭ মে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স লিমিটিডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) ৩ দিনের রিমান্ড শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ইডি'র হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদারসহ মোট ৬ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এরপর তিন দিনের রিমান্ডে সংস্থাটির হেফাজতে ছিলেন তিনিসহ পাঁচজন। হেফাজতে নেয়ার পর পি কে হালদারের মামলার কতটা অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে আদালতকে অবগত করেন ইডির আইনজীবীরা।
পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে তারা আদলতকে জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ভারতে তার ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি।