বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় কমে এসেছে ভুটানেও। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক নোটিশে এ কথা জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ার আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর: রয়টার্স।
মন্ত্রণালয় প্রকাশিত নোটিশ অনুযায়ী দেশটিতে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে গ্যাস পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী যানবাহন, বুলডোজার, এক্সকেভেটর ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও এই জাতীয় যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ছাড়া অন্য সব যানবাহন আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী ৬ মাস পর্যন্ত যন্ত্রচালিত যাবতীয় গাড়ি আমদানি বন্ধ থাকবে।
আট লাখেরও কম জনসংখ্যার দেশটির অর্থনীতি পর্যটনশিল্প নির্ভর। করোনা বিধিনিষেধের কারণে মহামারি শুরুর পর থেকেই প্রায় পর্যটনশূন্য ভুটান। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও তেলের দাম বেড়েছে। এ কারণে ভুটানের অনেক জনগণ সংকটের মুখে পড়েছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে ভুটানের হাতে ছিল ১৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। আট মাসের মধ্যে গত ডিসেম্বরে ভুটানের হাতে রিজার্ভ পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৯৭ কোটি মার্কিন ডলার।
ভুটানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ গুলট্রামের (২০ হাজার ডলার) চেয়ে কম দামের ইউটিলিটি যানবহন আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে এবং সেগুলো পর্যটনের কাজে ব্যবহার ও পর্যটনের উন্নয়নে ছাড় দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিত করতে এই স্থগিতাদেশ ছয় মাসের জন্য কার্যকর করা হয়েছে।’
ভুটানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কুয়েনসেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জুন পর্যন্ত ভুটান আট হাজারের বেশি বিদেশি গাড়ি আমদানি করেছে। যা বিদেশি মুদ্রা কমে আসার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী অন্তত ১২ মাস আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব সেই পরিমাণ রিজার্ভ রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙা না করতে পারলে ভুটানের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতোই হতে পারে বলে আশঙ্কা আছে।