শিশুদের অপুষ্টি বিশ্বব্যাপী মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ইউনিসেফের তথ্যমতে প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং বিশ্বে এই ধরণের শিশুর সংখ্যা এক কোটি ৩৬ লাখ। রাজনৈতিক সহিংসতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এই সংখ্যাটা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপুষ্টি শিশুদের যেকোনো সাধারণ রোগকেই ঘাতক রোগে পরিণত করে। অপুষ্টিতে ভোগার কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, বেড়ে যায় মৃত্যুহার।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা এক কোটি ৩৬ লাখ। এই শিশুদের এক চতুর্থাংশই উন্নয়নশীল দেশের বাসিন্দা। অপুষ্টিতে ভোগা ১০টি শিশুর মধ্যে ৯জনই মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
সংস্থাটি রাজনৈতিক সহিংসতা, দেশের অভ্যন্তরিন কোন্দল, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা অতিমারীসহ নানাবিধ কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশু সংখ্যা বাড়ছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর এই সংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে কয়েকগুণ।
সংকট থেকে উত্তরণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সরকারের সাথে ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। প্রতিকারের থেকে প্রতিরোধের ওপর অধিক জোর দিয়ে গ্রহণ করা হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। মায়েদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রসূতি মায়েদের দেওয়া হচ্ছে সঠিক পুষ্টি তথ্য।
ইউনিসেফের গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে ২০২০ সালে ৫০ লক্ষাধিক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিলো। চলতি বছরে উন্নত দেশগুলোর মোট উন্নয়ন ব্যয়ের ০.১ শতাংশ দিয়ে বিশ্বকে সুস্থ্য আগামী প্রজন্ম উপহার দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।