ঢাকায় পৌঁছেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি। চার্টার্ড বিমানে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে সুদৃশ্য এই ট্রফিটি। ট্রফির সঙ্গে আছেন ফিফার সাত কর্মকর্তা। এর মধ্যে একজন ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দলের অন্যতম সদস্য ক্রিশ্চিয়ান ক্যারেম্বু। সাত কর্মকর্তার সঙ্গে রয়েছেন ফিফার অফিসিয়াল পার্টনার কোকাকোলার কয়েকজন ব্যক্তিও।
বিমানবন্দরে ট্রফিটি গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বাফুফের সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা ও কোকাকোলার কর্মকর্তারা।
বুধবার বিকেলে বঙ্গভবন ও সন্ধ্যায় গণভবনে নেওয়া হবে ট্রফি। রাতে একটি বিশেষ ডিনারপার্টিও আছে ট্রফি আগমন উপলক্ষে।
বাফুফে সভাপতি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশে আগমন আমাদের জন্য আনন্দের বিষয় এবং একই সঙ্গে গর্বের বিষয়। আমি ফিফা এবং কোকাকোলা বাংলাদেশকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ২০১৩ সালে ফিফা বিশ্বকাপ বাংলাদেশে আসায় আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম, আশা করছি এবার সে আনন্দ অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।’
২০১৩ সালে বাংলাদেশে ট্রফি ছিল তিনদিন (হোটেল র্যাডিসনে)। তখনও কোকাকোলা ট্রফি প্রদর্শনীর দায়িত্বে ছিল। সহায়তায় ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এবারও তাই হবে। ট্রফিটি নিজ চোখে দেখার প্রচণ্ড আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীদের। তবে তাদের জন্য হতাশার খবর দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হোটেল র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে জনসাধারণকে প্রদর্শন ও ছবি তোলার জন্য ট্রফি রাখা হবে। এরপর বেলা সাড়ে চারটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। এর ফাঁকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ট্রফি প্রদর্শন করা হবে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে ট্রফিটি পূর্ব তিমুরের উদ্দেশে রওনা হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাফুফে।