দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী জোটের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ। এরইমধ্যে দুই দশকেরও বেশি পুরনো বিএনপি জোট ছাড়ার কথা জানিয়েছে অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী। তবে একে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। জোট নয় বরং সমমনা দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের পথেই নিজেদের আন্দোলনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করছেন তারা।
১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে জোটবদ্ধ হয় বিএনপি, গঠন করে চারদলীয় জোট। এরপর কেটে যায় দুই দশক। বিভিন্ন সময় বিএনপি’র রাজনীতিতে জামায়াতকে ঘিরে প্রশ্ন উঠলেও ভোটের রাজনীতির হিসেবে সম্পর্কে অটুট থাকে দুদলই। যদিও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন’ করলে দূরত্ব দৃশ্যমান হয়।
সম্প্রতি বিএনপি জোট ছাড়ার বিষয়ে জামায়াতের আমিরের বক্তব্যে স্পস্ট হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন। তাছাড়া নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত দেশের বৈধ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে চায় বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা।
গেলো তিনটি সংসদ নির্বাচনে ব্যর্থতা ভাঙতে এবার কৌশলী অবস্থানে বিএনপি’র নীতি নির্ধারক নেতারা। কোনো জোট নয় বরং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের পথেই হাঁটতে চান তারা। জামায়াতকে কেন্দ্র করে এরআগে বৃহত্তর ঐক্য না হলেও এবার সে বাঁধা থাকছে না বলে মনে করছেন দলটির কেউ কেউ।