আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শাসনামলে দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো, অথচ তারা এখন বিদ্যুত নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে। এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা সহজেই তাদের অতীত ভুলে যেতে চাইলেও জনগণ ঠিকই তা মনে রাখে। তাদের সময়কালে দেশে দিনে ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা লোডশেডিং চলতো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সরকার দুর্নীতি করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না। এছাড়া, শিল্পায়নের বিকাশ ঘটতো না, অর্থনীতির সমৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি ঘটতো না।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার বৈপ্লবিক সাফল্য দেখিয়েছেন এমন দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াট।
মন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিলো মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে শতভাগ।
২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট, বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুেৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৮ লাখ।
তিনি জানান ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লক্ষ। সরকারের এ সাফল্যে বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশকেও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন এর অংশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে, যা একটি সাময়িক পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন একটি মহল ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ভুঁয়া জিগির তুলছেন, প্রকৃতপক্ষে ভারত থেকে দেশে আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ মোটের উপর মাত্র ১০ শতাংশ। আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে নাকি ১৩ দিনের অকটেন এবং ১৭ দিনের পেট্রোলের রিজার্ভ আছে।
অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সামান্য পরিমাণে বুস্টার ছাড়া দেশে অকটেন ও পেট্রোল আমদানিই করা হয় না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের কনডেনসেট থেকে রিফাইন করে পেট্রোল ও অকটেন তৈরি করা হয়।
আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে তেল মজুদ আছে ৩৭ দিনের, তারা এ কথা বলছেন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য। প্রকৃত সত্য হচ্ছে দেশে তেল মজুদের সক্ষমতা রয়েছে ৪০ দিনের।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে বিএনপি যে অব্যাহত অপপ্রচার আর মিথ্যাচার করছে, তা নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাদের সময়ে দেশ ছিলো অন্ধকারে নিমজ্জিত।
তিনি বলেন, তারা দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ ক্ষমতায় আসার জন্য বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দিয়েছিলো।বিদ্যুতের পরিবর্তে স্থাপন করেছিলো খাম্বা।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন আলোকিত রাখতে গিয়ে সারা দেশকে অন্ধকারে রেখেছিলো বিএনপি।