সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের দুই শিশুকে শিশু আইন অনুসরন করে তদন্ত কমর্কতাকে জবানবন্দি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৮ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় আরও বলেন, দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের পূর্বে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে হাজির করতে হবে। এক্ষেত্রে গরিমসি করা যাবে না। শিশুরা জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে যৌক্তিক সময় পর্যন্ত থাকবে। শিশুদের দাদা শুধু মাত্র উপস্থিত থাকবে সেসময়। মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা সেসময় উপস্থিত থাকতে পারবে।
এ সময়, তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য মামলা জট হয়, ৬ বছর আগের মামলা এখনো তদন্ত শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। বাবুল আক্তারের ২ শিশুকে শিশু আইন মেনে জিজ্ঞেসাবাদ করার আবেদনের শুনানীতে হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন।
কোন ক্রমেই শিশুদের নিরাপত্তা মানসিক চাপ যেন না পড়ে সবাই দৃষ্টি রাখবে বলে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ জুলাই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে হাইকোর্টকে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি। সেই থেকে দুটি মামলায় তদন্ত করছে পিবিআই।