বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাঙালির গর্বের আরেকটি নতুন সংযোজন পদ্মাসেতু। প্রত্যাশা ও প্রতিজ্ঞার মেলবন্ধন পদ্মাসেতু। দেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আজ এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বিবৃতিতে আরো বলেন, পদ্মাসেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটা দেশের সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাঙালির গর্বের আরেকটি নতুন সংযোজন পদ্মাসেতু। প্রত্যাশা ও প্রতিজ্ঞার মেলবন্ধন পদ্মাসেতু।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে, এত সমস্যা মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এ সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক লাইফ লাইনরূপে কাজ করবে। বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাণিজ্য, দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগ, শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠা, কৃষি সম্প্রসারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে পদ্মাসেতু।
পদ্মাসেতু বাঙালির আত্মমর্যাদা এবং আত্মনির্ভরতার এক অনন্য সোপান উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ও বহু কাঙ্খিত পদ্মাসেতু আজ আর স্বপ্ন নয়। তিনি বলেন, নি:সন্দেহে এটা আমাদের অনেক বড় অর্জন, অনেক বড় সফলতা এবং অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। এই অর্জনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির নতুন যুগে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ নতুন এক পরিচয়ে পরিচিত। যে পরিচয় সম্মানের গৌরবের সফলতায় এবং সক্ষমতার। খরস্রোতা পদ্মার বুকে পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। এটা আমাদের অহংকার।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বহু বিস্ময় ও রেকর্ডের জন্ম দেয়া সেতুটির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়াবে। এরফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ প্রত্যক্ষভাবে এ সেতুর মাধ্যমে উপকৃত হবে আর পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে দেশের মানুষ। পদ্মা সেতুর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হোক নতুন পালক, এমনই প্রত্যাশা করেন বিরোধীদলীয় নেতা।