দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলসহ দেশটির মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে আরও বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। দেশটিতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে। বৃষ্টি ও ভূমিধ্বসে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। বন্যার জলে ডুবে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী সিউল। শহরটির ছয়টি রেল স্টেশন ডুবে গেছে। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে আরও কয়েকটি রেলওয়ে ও পাতাল রেল স্টেশন।
সিউলের আকাশে মেঘ কমে এলেও কমেনি বৃষ্টি ও বন্যার আশংকা। বুধবার রাত থেকে রাজধানী সিউলসহ মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে কোরিয়ার আবহাওয়া বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের সাথে বন্যার সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
কোরিয়ার আবহাওয়া বিভাগ আরও জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত শুধু সিউলেই মোট ৫২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে শহরটির ২৫ কিলোমিটার পূর্বের ইয়ংপিয়ংয়ে রেকর্ড করা হয়েছে ৫২৬ দশমিক দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
সরকারি তথ্যানুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃষ্টি ও ভূমিধ্বসে এপর্যন্ত মারা গেছে অন্তত ৯ জন। আহত হয়েছে আরও ১৯ জন। ৭ জন মানুষ এখনও নিঁেখাজ।
হতাহতের পাশাপাশি দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে। এপর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে তিন হাজার ঘরবাড়ি ও ভবন। নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় দুই হাজার বাসিন্দাকে। শুধু সিউলেই সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ৬’শ; এবং সারাদেশে সাড়ে বারো’শর বেশি মানুষ।