অতিবৃষ্টি আর বন্যায় তলিয়ে গেছে পাকিস্তানের নতুন সেনসেশন শাহনেওয়াজ দাহানির নিজ এলাকা। পানি আর খাদ্যের সঙ্কটের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমেছে এ পেসারের গ্রাম লারকানার খাওয়ার খান দাহানিতে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সরকার আর এনজিওকে আগেই অনুরোধ জানিয়েছেন এ পেসার।
কাঁদছে পাকিস্তান। ২২ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টায় এক দল। ভেতরের কষ্ট-কান্না চেপে রেখে সেই দলের সঙ্গী শাহনেওয়াজ দাহানি।
যার নিজের বাড়ি সিন্ধু প্রদেশের লারকনার খাওয়ার খান দাহানি এলাকায়। বন্যায় পুরোটা এলাকা নিমজ্জিত। সুপেয় পানি আর শুকনো খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছে গ্রামটির বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো এলাকা। এই গ্রামেই বেড়ে ওঠা শাহনেওয়াজ দাহানির। বিচ্ছিন্ন জনপদে এখনো পৌঁছায়নি ত্রাণ সামগ্রী।
কিন্তু সেসবকে একপাশে রেখে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে কি চেষ্টাই না করেছেন এই পেসার। বল হাতে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট না নিলেও ব্যাট হাতে তার ৬ বলে ১৬ রানের ক্যামিও মহামূল্যবান। একপেশে হতে চলা ম্যাচটাকে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দু’ছয়ে।
২৫ বছর বয়সী দাহানি কিভাবে এই মানসিক চাপ সামলাচ্ছেন?
দেশ ছাড়ার আগে সরকারি-বেসরকারি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্য চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন এ ক্রিকেটার।
শাহনেওয়াজ দাহানি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, উত্তর সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও দক্ষিণ পাঞ্জাবে মৌসুমী বৃষ্টি এবং বন্যায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। গৃহহীন হয়ে পড়ছে অনেকেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেণ নিতে সরকার ও এনজিওর কাছে আবেদন জানাচ্ছি। সেখানকার মানুষ যেনো সম্মিলিতভাবে এমন দূর্যোগ মোকাবেলা করে এবং একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করে সেই আহ্বান জানাই।
এমন অবস্থায় দাহানি পরিবারের খোঁজ রাখছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। শুধু সিন্ধু নয় বেলুচিস্তান আর পাঞ্জাব প্রদেশও তলিয়ে গেছে অতিবৃষ্টি আর বন্যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এরই মাঝে প্রাণ গেছে এগারোশোরও বেশি মানুষের।
শুধু দাহানি নয় বাবর আজম থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ানরাও বন্যাদূর্গতের কষ্টে সামিল হয়েছেন। সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন সবার কাছে। এশিয়া কাপ শুরু করেছে কালো ব্যান্ড পড়ে।